রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে সন্ত্রাসী রহিম ও তার ছেলের অত্যাচার নির্যাতনে অসহায় এলাকাবাসী উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে রাজপথে বিল্পবী ছাত্র জনতা ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে দেখে কেঁদে ফেললেন মির্জা ফখরুল সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ওসমানী জাতীয় স্মৃতি পরিষদ-এর বিশেষ বাণী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খ. ম. আমীর আলী ছাত্র বৈষম্য আন্দোলনে আহতদের জন্য আর্থিক সহায়তা নিয়ে পাশে বিএনপি নেতা মোঃ সাইফুল ইসলাম নরসিংদীর মনোহরদীতে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানক্লাব ‘নেবুলাস’-এর যাত্রা শুরু প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস গার্মেন্টস ব্যবসায়িদের নিঃস্ব করে কোটি টাকা প্রতারণা করে লাপাত্তা কৃষক লীগ নেতা হান্নান শেখ!
চালু হচ্ছে মানবাধিকার হটলাইন

চালু হচ্ছে মানবাধিকার হটলাইন

বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোন ঘটনা আপনার নজরে পড়লে এবার আপনি সরাসরি তা টেলিফোন হটলাইনের মাধ্যমে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে জানাতে পারবেন।

আপনার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চালিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে।

কমিশন আশা করছে, আগামী মার্চ মাস থেকে ১৬১০৮ নাম্বারটি চালু হবে এবং এই টেলিফোনের কল করার জন্য অভিযোগকারীকে কোন অর্থ দিতে হবে না।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বিবিসি বাংলাকে বলেন, এর আগে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলোর সিংহভাগ আসতো পরোক্ষভাবে, যেমন সংবাদমাধ্যমে বা মানবাধিকার কর্মীদের মাধ্যমে।

তারা এখন চাইছেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলো ভিকটিম বা তার পক্ষে কারো কাছ থেকে সরাসরি গ্রহণ করতে।

কীভাবে কাজ করবে টেলিফোন হটলাইন?

অভিযোগকারী মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ জানানোর জন্য ১৬১০৮ নাম্বারটিতে ফোন করার পর কমিশনের একজন কর্মকর্তা তার কাছ থেকে বিস্তারিত জানাবেন।

অভিযোগ যাচাই বাছাইয়ের পর সেটি সম্পর্কে কমিশনের তরফ থেকে তদন্ত চালানো হবে।

তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে মানবাধিকার কমিশন থেকে পুলিশ বা অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিংবা সরকারের অন্য বিভাগকে আইনগত পদক্ষেপ নিতে সুপারিশ করবে।

অভিযোগকারী অনলাইনের মাধ্যমে এই অভিযোগের তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে পারবেন।

এই সেবা চালু হওয়ার পর ভবিষ্যতে জেলা পর্যায়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভিকটিম সরাসরিভাবে মানবাধিকার কমিশনের কাছে অভিযোগ করতে পারবে।

কিন্তু মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী শক্তিধর হলে অভিযোগকারীর নিরাপত্তা কে দেবে? এই প্রশ্নের জবাবে কমিশনের চেয়ারম্যান হক বলেন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য পুলিশ, র‍্যাবসহ নানা ধরনের প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

নিরাপত্তা প্রদানের প্রাথমিক দায়িত্ব তাদের বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে অপহরণ, গুম ও গুপ্ত হত্যার ঘটনায় দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতি ‘চরম উদ্বেগজনক’ পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে অভিযোগ করেছে মানবাধিকার কর্মীরা।

মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র বলছে, ২০১৭ সালে এক বছরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে অপহরণ কিংবা রহস্যজনক নিখোঁজ হয়েছে মোট ৯১ জন।

এর মধ্যে ফিরে এসেছেন বা খোঁজ পাওয়া গেছে মাত্র ২৬ জনের।

সাবেক রাষ্ট্রদূত থেকে শুরু করে রাজনীতিক, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ কেউই গুম কিংবা নিখোঁজের তালিকা থেকে বাদ যায়নি বলে তারা বলছে।

এসব ঘটনা রোধ করার প্রশ্নে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ‘নিষ্ক্রিয় ভূমিকা’ নিয়েও মানবাধিকার আন্দোলনকারীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com